দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ২০১ জন। যা ছিল গত বুধবার। আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪। একই সময়ে দেশে আরো ১১ হাজার ৩২৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১১ হাজার ৬৫১ জন। যা ছিল একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৪৩।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৯টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৮৬টি। এর মধ্যে আরো ১১ হাজার ৩২৪ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১১ হাজার ৬৫১ জন। যা এ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ লাখ ৫৪৩ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩ হাজার ২৬৮টি।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ পর্যন্ত একদিনে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় (৭ জুলাই) ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা এখন পর্যন্ত একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মোট ১৬ হাজার ৪ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ এবং ৯৩ জন নারী। এর মধ্যে ১৬ জন বাড়িতে এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ জন ৩৮৪ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৫৩ জনই ঢাকা বিভাগের। এ ছাড়া খুলনায় ৭৯, চট্টগ্রামে ২৬, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৫, সিলেটে ৬, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন মারা গেছেন।