বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রথম ‘লকডাউন’ শব্দটি ব্যবহার করা হলো৷ এর আগে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ বলা হলেও এবার লকডাউনের সাথে কঠোর শব্দটিও ব্যবহার করা হয়েছে৷ তবে অতীতের অভিজ্ঞতায় প্রশ্ন উঠেছে কঠোর লকডাউন কেমন হবে?
বাংলাদেশে আজ থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে৷ করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যল কমিটির ১৪ দিনের শাটডাউনের প্রস্তাবে এই ঘেষণা দেয়ার পর আবার নতুন সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো ১লা জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন৷ প্রাথমিকভাবে সাত দিনের জন্য সিদ্ধান্ত হলেও তা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে৷ টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মো, শহীদুল্লাহ বলেন, ‘‘সংক্রমণ ঠেকাতে হলে লকডাউন হতে হবে কারফিউর মতো৷’’ গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়৷ ১৮ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়৷ ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি দিয়ে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়৷
আর এবার করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে কঠোর বিধিনিষেধ এবং আঞ্চলিক লক ডাউন চলছে৷ আজ সকাল ৬ টা হতে ৭ জুলাই অবধি থাকবে লকডাউন। মূলত এই লকডাউনে কি করোনা সংক্রমন কমানো যাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে-কাঁচা বাজার, মুদির দোকান, ঔষধের দোকান, খাবার হোটেল এবং ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে লকডাউন শব্দটি প্রযোজ্য হয় না। মাঠে ঘাস রেখে গরু যেমন আটকানো অনেক কষ্ট হয়ে যায়, তেমনই লকডাউনের বিষয়টা। লক ডাউনের বিষয়ে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। বাইরে যাই খোলা থাকুক, ঘর থেকে বের হবনা, আগে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে, তবেই লক-ডাউনের সফলতা অবশ্যই হবে। আসুন সবাই মাস্ক ব্যবহার করি-সুস্থ্য থাকি।
ডেস্ক রিপোর্ট