আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১১ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তার দেশের সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়েছিল যে মে মাসের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
এখন নতুন যে সময়সীমার কথা বলা হচ্ছে তার ঠিক ২০ বছর আগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র এবং পেন্টাগনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল।
এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন ১লা মে তারিখের মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কাজ কঠিন হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নেটোর নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার বিদেশি সৈন্য অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা আড়াই হাজার। গত দুই দশকের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজারের মতো মার্কিন সৈন্য।
যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটোর কর্মকর্তারা বলছেন, সহিংসতা কমানোর ব্যাপারে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা পূরণ করতে পারেনি।
এই খবরটি জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, তালেবানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে সৈন্য প্রত্যাহারের এই সময়কালে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালানো হলে “শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তার জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে সেটা একটা ঝুঁকি তৈরি করবে বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বলেছেন, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা “সংঘাতের এই বইটি (অধ্যায়) এখনই বন্ধ করে দেওয়ার সময়।”
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার নিজে এই ঘোষণা দেবেন বলে কথা রয়েছে।
সন্দেহ নেই কুড়ি বছর আগে তালেবানকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পর এখনকার আফগানিস্তান একেবারেই ভিন্ন এক দেশ।
কিন্তু অনেকেই যেমন বলছেন যে সৈন্য প্রত্যাহারের পর দেশটি শান্তির পথে অগ্রসর হতে পারে, তেমনি অনেকে আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে আফগানিস্তান আবারও সহিংসতায় নিপতিত হতে পারে।