আরাফাতের ময়দান তিন দিকে পাহাড়বেষ্টিত। মাঝে দুই মাইল দৈর্ঘ্য ও দুই মাইল প্রস্থের সমতল ভূমি। আরাফাতে রয়েছে জাবালে রহমত বা রহমতের পাহাড়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাবালে রহমতের কাছে দাঁড়িয়ে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এসে হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)–এর পুনর্মিলনও হয়েছিল এ ময়দানে।

আজ ফজরের নামাজ আদায় করে মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের এ ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন হাজিরা। পরে এ ময়দান থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। শয়তানের উদ্দেশে নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে। কাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানের উদ্দেশে সাতটি পাথর মারবেন, দমে শোকর বা কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড়ও বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মসজিদুল হারামে গিয়ে কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। এ ছাড়া সাফা-মারওয়া সাঈ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। তাওয়াফ ও সাঈ শেষে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানের উদ্দেশে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। এভাবেই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ১৫০টি দেশের মোট ৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৭০ জন এ বছর হজ পালনের জন্য আবেদন করেছিলেন। চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ‘স্মার্ট হজ কার্ড’ চালু করা হয়েছে এবার।

গত শনিবার মিনায় যাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে হজের কার্যক্রম।

খুতবা ও গিলাফ

আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে আজ হজের খুতবা দেওয়া হবে। এবার খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। প্রতিবছর হজের দিন কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ পরানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আজও কাবায় নতুন গিলাফ পরানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *